লঙ্ঘন - উলঙ্ঘনের সীমান্তে দুহিতারা চিরকালীন - ক্ষণস্থায়ী সময়ে তারা যতবার তীব্র হয়েছে ততবার সমাজ..... তুমি নির্যাতিতা প্রনরেনী হয়েছ । পুজোর হইহুল্লোড় আর নানা ব্যস্ততা এবার একটু একটু করে কমতে লেগেছে। সামনেই দীপাবলী হওয়ার সাথে সাথেই আরও একটা বছরের অপেক্ষায় থাকবে উৎসবের আমেজ। কিন্তু এই সবের মাঝখানেও একটা প্রশ্নের উত্তর জানার ইচ্ছে রয়ে যাবেই আর সেটা হলো "...সহ্য কেন করি...?" হ্যাঁ, এবারের পুজোতেও সহ্য করতে হয়েছে আমাদের...প্যান্ডেলে প্রতিমা দেখার ভীড়ে মায়ের কোনো এক কুলাঙ্গার সন্তানের অসহ্যনীয় ছোঁয়া বা যৌনতার ওপর ঘৃণা জন্মানোর মতো দৃষ্টি...- এই সবই সহ্য করতে হয়েছে। যে কোঠাবাড়ির মাটি ছাড়া মা পূর্ণতা পায় না, সেই কোঠাবাড়ির মেয়েরাই আজও মা হওয়ার সম্মান পায় না...ওরা কি কেবল সহ্য করার জন্যই জন্মেছে? ইউনিভার্সিটিতে প্রথম স্থান পাওয়া মেয়েটা ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে তার প্রেমিককে জড়িয়ে ধরলে তাকেও শিক্ষা-সংস্কারহীনের খেতাব পেতে হয়েছে সমাজের থেকে...এমনটা কি হওয়ার কথা ছিল? শব্দ কম পরে যাবে তবু উদাহরণ শেষ হবে না মেয়েদের সহ্য করার। আজকাল অনেক ক্ষেত্রে মেয়েদের বলা হয়, শেখানো হয় এই সব ঘটনা উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে, কিন্তু কিসের অপেক্ষায় এই উপেক্ষা? কেন প্রতিবাদ নয়? যেখানে দেবীমায়েরই কিছু সন্তান প্রতিমার দেহের গঠন নিয়ে নোংরা আলোচনায় জড়াতে পিছোয় না সেখানে মেয়েরা কেন পিছোবে প্রতিবাদ করা থেকে? সমাজ যখন ভুলে গেছে যে সহ্য করতে পারাটা মেয়েদের ক্ষমতা, দুর্বলতা নয় তখন দায়িত্ববান নাগরিক হয়ে সমাজকে মনে করিয়ে দিতে হবে মেয়েরা সহ্য করা ছাড়াও আরও অনেক কিছুই পারে।